অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় স্কুল দপ্তরী কর্র্র্তৃক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় অভিযুক্তর পক্ষ নিয়ে গ্রাম্য টাউট ও প্রভাবশালীরা মিমাংসার নামে কয়েক দফা প্রহসনের বৈঠক করেছেন।
স্থানীয় একাধিক বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের নাঘিরপাড় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী ওই গ্রামের দরিদ্র কৃষক দশরথ বালা ওরফে দুলালের মেয়ে (সাথী বালা) প্রতিদিনের মত শনিবার খুব সকালে স্কুলের একটি কক্ষে প্রাইভেট পড়তে যায়। এ সময় ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে একই কম্পাউন্ডে অবস্থিত নাঘিরপাড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরী সোমাইরপাড় গ্রামের আলমগীর খানের ছেলে আমিনুল খান (২৮) জোর করে সাথীকে তার রুমে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে তার শ্লীলতাহানি ঘটায়। এসময় শিক্ষার্থীর ডাকচিৎকারে পার্শ্ববর্তী বাজারের ব্যবসায়ীরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এঘটনা জানাজানি হলে অসহায় শিক্ষার্থীর পরিবারকে চাপের মুখে রেখে অভিযুক্ত আমিনুলের পক্ষ নিয়ে কতিপয় গ্রাম্য টাউট ও প্রভাবশালীরা বিদ্যালয় লাইব্রেরীতে ঘটনা মিমাংসার নামে কয়েক দফা প্রহসনের বৈঠক করেন। নাঘিরপাড় স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিভুতি ভূষণ সরকার বলেন, ঘটনাটা আমি লোকমুখে শুনেছি। তবে সালিশ বৈঠকে আমি উপস্থিত ছিলাম না। নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরী আমিনুলের বিরুদ্ধে এর আগেও রাতে স্কুল কম্পাউন্ডে গাঁজাসেবন ও বিভিন্ন অনৈতিকতার অভিযোগ রয়েছে।
এব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলামের ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ডিউটি অফিসার এসআই শাহজালাল জানান, এমন ঘটনা নিয়ে কেউ থানায় কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।